Primary এর পর এবার কি চাকরি যেতে বসেছে SSC শিক্ষকদের ? কি জানাল কমিশন
রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষিকা নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে চাপানউতোর চলে আসছে অনেক দিন ধরেই। ইতিমধ্যেই চাকরি হারিয়ে বসে আছেন রাজ্যের অনেক শিক্ষক শিক্ষিকা। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজ্যের পলিটিক্যাল নেতাদের ঘরের সদস্য অনেকেই এই দুর্নীতির আওতায় রয়েছেন। একে একে এখনো পর্যন্ত অনেক অযোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকাদের চাকরি থেকে বাতিল করা হয়েছে হাইকোর্টের নির্দেশে। প্রাইমারি থেকে শুরু করে উচ্চস্তরের অনেক শিক্ষাদাতারাই রয়েছেন এই বাতিলের তালিকায়। এরই মধ্যে সদ্যই হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলী এক রায় ঘোষণা করে প্রাথমিক স্তরের প্রায় ৩৬ হাজার শিক্ষক শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করেছেন তাদের চাকরি থেকে। তাই এরপর স্বাভাবিক ভাবেই ভয় ধরেছে রাজ্যের সকল SSC শিক্ষক শিক্ষিকাদেরও। তবে কি এবার তাদের পালা ? কি জানান হল কমিশনের পক্ষ থেকে ?
২০১৬ সালে শেষ বারের মতো অনুষ্ঠিত হয় স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে নিয়োগের পরীক্ষা। তারপর থেকে দীর্ঘ ৭ বছর যাবৎ না তো আর কোন নিয়োগের নোটিশ জারি করা হয়েছে না তো কোনো রকম উচ্চবাচ্য শোনা গেছে সরকারের তরফ থেকে। হাইকোর্টের এক হলফনামায় বলা হয়েছে যে এই বছরের SSC নিয়োগ প্যানেলেই এক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেছে সবচেয়ে বেশি। রাজ্যের এমন হাজারো শিক্ষক শিক্ষিকা যারা কিনা ঠিকঠাক অক্ষরটুকুও জানেন না তাদেরকে কেবলমাত্র কাটমানির বিনিময়ে চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে অবিচার ঘটেছে অনেক যোগ্য প্রার্থীদের সঙ্গে। দুর্নীতির কারণে ভালো পরীক্ষার পরও নিয়োগ তালিকায় স্থান পাননি তারা। এই কারণে বারবার তারা দ্বারস্থ হয়েছেন কোর্টের। আর তাদের মতোই মানুষদের সুবিচার পাইয়ে দিতে এসেছেন হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই তার নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন অনেক উচ্চ প্রাথমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষক শিক্ষিকারাও। এমনকি তাদের থেকে আদায় করা হয়েছে মোটা টাকা জরিমানা।
কিছুদিন আগেই এই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে SSC এর কাছে প্রশ্ন করা হলে কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান "কোর্ট এব্যাপারে পুরোদমে তদন্ত চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই অনেক নথিপত্র এবং সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়েছে আমাদের থেকে। যদি আরও কোনো সাহায্য লাগে আমরা করতে রাজি। এরপর যদি কোনো দুর্নীতিমূলক প্রমাণ উঠে আসে তাহলে সেব্যাপারেও আমরা আইনকে সম্পূর্ণ সমর্থন করব। কিন্তু এখন যদি আমরা এই বিষয় নিয়ে এগোতে থাকি তাহলে কমিশনের অন্য আর কোন কাজ হবে না।" এই বক্তব্য স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন SSC চেয়ারম্যান।
তবে সবকিছুর পরও একটা আশঙ্কা তো থেকেই যাচ্ছে এ বিষয়ে। কারণ প্রাথমিকের সঙ্গে সঙ্গে যখন SSC নিয়োগের ক্ষেত্রেও বেশ কিছু দুর্নীতির প্রমাণ অনেক আগেই পাওয়া গেছে এবং বেশ কিছু এরূপ শিক্ষক শিক্ষিকাদের শাস্তিও দেওয়া হয়েছে, সেক্ষেত্রে কোর্ট যে এরপর ২০১৬ সালের নিয়োগ প্যানেল নিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে তদন্ত করবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন