প্রধানমন্ত্রীর নারায়ণ ভান্ডার প্রকল্পের মাধ্যমে মাসিক ২০০০ টাকা করে দেওয়া হবে সবাইকে। আজই আবেদন করুন।
সম্প্রতি এক বিরাট বড় খবর পাওয়া গেছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। চালু হতে চলেছে নতুন প্রকল্প। নারায়ণ ভান্ডার প্রকল্প। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের অনুকরণেই এই প্রকল্পের সৃষ্টি। তাই এর নামকরণ করা হয়েছে এরকমভাবে। এই প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের তথা সারা দেশের প্রতি ব্যক্তিকে প্রত্যেক মাসে নগদ ২০০০ করে টাকা দেওয়া হবে। হ্যাঁ, সূত্র মারফত ঠিক এমনটাই খবর পাওয়া গেছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে। যার মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবেই রাজ্যের তথা সমগ্র দেশের প্রতিটি মানুষের মনে আনন্দ আর বাঁধ মানছে না।
সামনেই পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত ভোট। আর এই কারণে প্রতিদিনই বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সভা রাজ্যে লেগেই আছে। আর সেদিন হুগলির পান্ডুয়ায় গেঁরুয়া শিবিরের এইরকমই এক সভাস্থল থেকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ঘোষণা করেছেন। তিনি রাজ্যের সকল জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে যদি একবার তারা রাজ্যে ক্ষমতা লাভ করতে পারেন তবে তারা দেখিয়ে দেবেন জনকল্যাণ কাকে বলে। এইরূপ প্রতিশ্রুতি দিয়েই তিনি এই নারায়ণ ভান্ডার প্রকল্পের কথা ঘোষণা করেন সভায় উপস্থিত সকল জনগণের সামনে।
বর্তমানে আমাদের রাজ্যের প্রতিটি ঘরের মা বোনেরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু করা লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের সুবিধা ভোগ করছেন। এর মাধ্যমে তারা প্রতি মাসে ঘরে বসেই ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করে থাকেন। আর এবারের পঞ্চায়েত ভোটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তারই চালে মাত দেবার জন্য বিজেপি সভাপতি এই বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়েছেন। তিনি জনগণকে স্পষ্টভাবে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেছেন যে যারা লক্ষ্মীর ভান্ডারের সুবিধা ভোগ করছেন তাদের সেই সুবিধা থেকে কোনোভাবেই বঞ্চিত করা হবে না। বরং উপরন্তু তারা এই নতুন চালু করা নারায়ণ ভান্ডারের সুবিধাও পাশাপাশি পাবেন। তার এই ঘোষণায় রাজ্যের প্রতিটি জনগণ তো আনন্দে আত্মহারা।
সামনেই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোট। এছাড়া ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটও আসন্ন। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে প্রতিটি পলিটিক্যাল পার্টিই মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্যে নিজেদের গদি দখল করার জন্য। বিভিন্ন দল বিভিন্নভাবে চেষ্টা করছে জনগণকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজেদের আখের গোছাতে। তাই এবারে পান্ডুয়ার সভাস্থল থেকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার যে পাল্টা চাল মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ছেড়েছেন তা তাদের বিজয়ের সম্ভাবনাকে অনেকটাই সুনিশ্চিত করবে একথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। যাই হোক এখন দেখা যাক আবার মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষ থেকে কি অপেক্ষা করছে।
Telegram channel:- Join channel
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন